স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাই এর ঘটনায় ধৃত দুস্কৃতি

27th February 2020 বর্ধমান
স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাই এর ঘটনায় ধৃত দুস্কৃতি


সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়েই দুস্কৃতির নাগাল পেল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে গুলি চালিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জখম করে সোনা ও টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর ঘটনায় জড়িত  দুস্কৃতি  দলের এক পাণ্ডা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ  মতিলাল সেখ ওরফে মতি নামে ওই দুস্কৃতিকে  গ্রেফতার করেছে ।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি খণ্ডঘোষের কেউদিয়া  গ্রামে । ছিনতাইকারী দুস্কৃতি মতিলাল কে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম  হলেও উদ্ধার হয়নি ছিনতাই হয়েযাওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ীর টাকা ও সোনার গহনা। সেই সব সামগ্রী উদ্ধার ও বাকি দুস্কৃতিদের খোঁজ পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতকে  বর্ধমান আদালতে পেশ করে ১৪ দিন হেপাজতে নেবার আবেদন জানান । বিচারক ধৃতের ৭ দিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । 

 
পুলিশ  সূত্রে জানাগেছে,খণ্ডঘোষের  জুবিলা গ্রামে বাড়ি স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত দাসের ।তার খণ্ডঘোষে সগড়াই বাজারে জুয়েলারির  দোকান আছে।গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টার পর শ্রীকান্ত দাস দোকান বন্ধ করে বাইকে চড়ে বাড়ির ফিরছিলেন। একই বাইকে সওয়ার ছিলেন শ্রীকান্ত বাবুর দোকানের  কারিগর প্রদীপ গোস্বামী। বহু টাকা মূল্যের সোনা ও রুপোর গহনা এবং বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ তাঁদের সঙ্গেই ছিল  ।অভিযোগ ওই সময়ে অন্য একটি বাইকে চড়ে আসা তিন সশস্ত্র দুস্কৃতি জুবিলা হাটতলার কাছে হঠাৎতই  শ্রীকান্ত বাবুর পথ আটকায় । কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুস্কৃতিরা প্রথমে কারিগর প্রদীপ গোস্বামীকে লাথি মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয় । এরপরেই দুস্কৃতিরা ডানপায়ে গুলিকরে এবং মাধায়  ধারালো অস্ত্র  দিয়ে আঘাত করে  শ্রীকান্তকে জখম করে । শ্রীকান্ত বেসামাল হয়ে পড়েযেতেই দুস্কৃতিরা  সোনা ও নগদ  টাকা ভর্তি ব্যাগ তার কাছথেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।জখম অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বর্ধমান  মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। 


ব্যবসায়ীর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ । এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার পাশাপাশি পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরের দুস্কৃতিদের খোঁজ চালানো শুরু করে ।অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ দুস্কৃতী দলের পাণ্ডাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন , ছিনতাইয়ের  সময়ে দুস্কৃতিরা যে বাইকটি  ব্যবহার করেছিল সেটি উদ্ধার হয়েছে ।ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হবে। পাশাপাশি  ছিনতাই হওয়া সামগ্রী উদ্ধার ও বাকি দুস্কৃতিদেরও খোঁজ চালানো হবে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।